
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে : শিক্ষা সচিব
তিনশত
পয়ত্রিশ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় সাপেক্ষ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর
অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত) বাস্তবায়নে স্টিয়ারিং কমিটির
(পিএসসি) এক সভা ২০ এপ্রিল (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীর এবং
ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক।
সভায়
করোনা মহামারী এবং উদ্ভুত অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পের
অগ্রগতি পর্যালোচনা করে প্রকল্পভুক্ত অবকাঠামোর কাজ সম্পন্নে ব্যয় বৃদ্ধি
ছাড়াই আগামী ২ অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ
বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এক্ষেত্রে তিনি বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ
সম্পন্নের পরামর্শ দেন। প্রাসঙ্গিকভাবে দেশের উচ্চশিক্ষার বিকাশে
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, স্বাধীনতার
পর দেশে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি
বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,
এ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টিতে
সক্ষম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ জরুরি।
শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় খুলনা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন প্রকল্প বাস্তবায়নের
ক্ষেত্রে কয়েকটি সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি প্রয়োজনীয় কাজের ব্যাপারে ২ বছর
সময় বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত
করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে করোনা
মহামারীসহ সাম্প্রতিক রড, সিমেন্ট ও পাথরের মূল্যবৃদ্ধিতে ঠিকাদারের
অনাগ্রহে কাজের গতি কিছুটা স্থবির। এ পরিস্থিতির উন্নতি হলে দু’বছরের মধ্যে
কাজ সম্পন্নের ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় অংশগ্রহণ করে
প্রকল্পের কাজ সম্পন্নে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত প্রদান করায় শিক্ষা সচিব,
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির প্রতিনিধিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে
উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সভায় মাউশির অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)
মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আমজাদ
হোসেন, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের অতিরিক্ত সচিব
(শিক্ষা উইং) ইসরাত জাহান তসলিম, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের
যুগ্ম প্রধান (আর্থ-সামাজিক উইং) ড. নূরুন নাহার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের
উপ-সচিব (বাজেট-২) মো. তারিকুল ইসলাম খান, মাউশির যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-২)
সৈয়দা নওয়ারা জাহান, পরিকল্পনা বিভাগের উপপ্রধান (একনেক অধিশাখা) নিশাত
জাহান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির মহাপরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন
সেক্টর-৬) মুঃ শুকুর আলী, মাউশির উপ-সচিব (পরিকল্পনা) মুহাম্মদ জহুরুল
ইসলাম, ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড.
ফেরদৌস জামান ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও
সংযুক্ত ছিলেন প্রকল্প তত্ত্বাবধান কমিটির সভাপতি স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের
শিক্ষক প্রফেসর ড. খোঃ মাহফুজ উদ দারাইন, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প
পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক
(ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মুহা. মাহবুবুস সোবহান, প্রধান প্রকৌশলী
(ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক
(ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান, উপ-প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এস এম
মনিরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভার প্রারম্ভে
প্রকল্পের ইউনিট অনুযায়ী বিভিন্ন অবকাঠামোর অগ্রগতি পাওয়ার পয়েন্টে
উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তিনশত পয়ত্রিশ কোটি টাকারও বেশি
ব্যয় সাপেক্ষ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের
(প্রথম সংশোধিত) কাজ শুরু হয়। যার মেয়াদ চলতি বছর জুন মাসে শেষ হবে।