
খুবিতে প্রথমবারের মতো ই-ফাইলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-ফাইলিং চালুর লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন গতকাল দুপুরে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করে বলেন, ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কাজের গতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। কাগজ ও সময় সাশ্রয় হবে। নথি খুঁজতে সময় ব্যয় করতে হবে না। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাদের অনেক ফাইল থাকে যা দ্রুত নিষ্পত্তি হলে কাজের গতি বাড়ে। তাই সার্বিক বিষয় চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের গতি বাড়াতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়নে সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের সহায়ক হিসেবে আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।
উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বুয়েট ই-ফাইলিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। বর্তমান সরকার ই-ফাইলিংয়ে জোর দিয়েছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের পীঠস্থান হলেও এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। অথচ ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ, পথ প্রদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ব্যবস্থা প্রবর্তন এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। উপাচার্য ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারী সকল স্কুলের ডিন এবং তাদের অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। পর্যায়ক্রমে খুব শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাই ই-নথিতে অভ্যস্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য এই প্রশিক্ষণ পরিচালনায় বিশেষ করে ই-ফাইলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণে সহযোগিতার জন্য বিডিরেইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলকে ধন্যবাদ জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত চাহিদা মতো এমপিবিএসসহ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইটিএল’র পরিচালক প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ প্রশিক্ষণে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এসময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, সিইটিএল’র উপ-পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মতিউল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।