
খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে কুলবোট এসি টেকনোলজির উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে কুলবোট এসি টেকনোলজি ব্যবহার করে মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরির বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ৭ জুন, ২০২১ খ্রি. সোমবার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান এর সভাপতিত্বে উক্ত প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ। প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার দাশ এই টেকনোলজির সুবিধার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সহ-তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান এসময় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। প্রশিক্ষণে ৫০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, কুলবোট প্রযুক্তিতে মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি হলে কম ব্যয়ে কৃষিপণ্য সংরক্ষণে সুবিধা হবে। ফলে একদিকে অমৌসুমে এসব কৃষিপণ্য বিক্রি করা যাবে, অপরদিকে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। বাংলাদেশে এ মিনি কোল্ড স্টোরেজ প্রযুক্তির উদ্ভাবন করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য কুলবোট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিনি কোল্ড স্টোরেজ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার দাশ। কুলবোট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষুদ্র পরিসরে তৈরি হিমায়িত সংরক্ষণাগার ফল ও শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্য সংরক্ষণে এক বিপ্লব সাধিত হতে পারে। এটি কৃষকদের আয় বাড়াতে সহায়তা করবে ও উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ক্ষতি লাঘবে অনেক ভূমিকা রাখতে পারবে। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কৃষক এই প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ দেখান।